× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসছে জাপান থেকে 
google_news print-icon

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসছে জাপান থেকে

অ্যাস্ট্রাজেনেকার-টিকা-আসছে-জাপান-থেকে
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা সরকার কিনেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে। তবে ৭০ লাখ পাঠানোর পর আর দিতে পারেনি তারা।
চুক্তি অনুযায়ী করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ৩ কোটি টিকা দেশে আসার কথা থাকলেও মাত্র ৭০ লাখ ডোজ দিয়েই টিকা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। ফলে ১৪ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায়নি। জাপান প্রায় আড়াই লাখ টিকা পাঠালে এই টিকা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে।

করোনা প্রতিরোধী অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ লাখ ৪৫ হাজার ডোজ টিকা উপহার হিসেবে দিচ্ছে জাপান। এই টিকা শনিবার বিকেলে ঢাকায় আসছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এই টিকা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কিনেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সরবরাহ সংকটে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায়নি। জাপানি টিকা দিয়ে এখন দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে।

বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে গড়ে তোলা প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে এ টিকা দিচ্ছে জাপান। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার বেলা ৩টা ২০ মিনিটে জাপান থেকে কোভ্যাক্সের ২ লাখ ৪৫ হাজার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছবে।

এই টিকা গ্রহণ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ওই টিকা হস্তান্তর করবেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৫টি দেশের জন্য ১ কোটি ১০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান। এখান থেকে দফায় দফায় ৩০ লাখ আ্যস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান।

চুক্তি অনুযায়ী করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ৩ কোটি টিকা দেশে আসার কথা থাকলেও মাত্র ৭০ লাখ ডোজ দিয়েই টিকা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। এমনকি এ বছরের শেষে ছাড়া অন্য দেশকে টিকা দিতে পারবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় ১৪ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়ে বিপাকে পড়েছে সরকার। তাদের দ্বিতীয় ডোজ শেষ করতে বিকল্প উৎস থেকে টিকা খোঁজা হচ্ছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেতে বিভিন্ন দেশকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সরকারের বহুমুখী চেষ্টায় আগামীকাল এই টিকা দেশে আসছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা না থাকলেও সরকারের হাতে এখন টিকার মজুত এক কোটির বেশি। এর একটি অংশ চীন থেকে কিনে আনা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ টিকা এসেছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে।

আগস্টে আরও এক কোটির বেশি টিকা আসবে বলে নিশ্চিত করেছে সরকার।

আরও পড়ুন:
সিরামের টিকা আসবে কবে, এখনও জানেন না দোরাইস্বামী
যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা আনার নেপথ্যে কারা?
গ্রামে এনআইডি ছাড়াই করোনার টিকা
১৮তে টিকার নিবন্ধন শিগগিরই
আগস্টে আসছে ১ কোটি ২৯ লাখ টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Chandraghona Ferry movement on the Raikhali naval route

চন্দ্রঘোনা- রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

চন্দ্রঘোনা- রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

রাঙামাটির কাপ্তাই লেক হতে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট দিয়ে ৩ ফুট করে পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারনে বুধবার দিবাগত রাত ৩ টা হতে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে নদীর দুই পাশে যাত্রী সাধারণ চরম দূর্ভোগে পড়ে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী( যান্ত্রিক) রনেল চাকমা বলেন, কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীল ওয়ের ১৬ টি গেইট ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের ফেরি চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।

এদিকে দেখা যায়, নদীর দুই পাশে কিছু যানবাহন অপেক্ষা করছে পারাপারের জন্য। চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বাবু বলেন, এই নৌ - রুটে প্রাকৃতিক কারনে প্রায়শ ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। যার ফলে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। সেতু নির্মান হলে জনদূর্ভোগ কমবে।

মোটরসাইকেল আরোহী শহীদুল ইসলাম, সরফুল আলম এবং সুকুমার বড়ুয়া বলেন, ওপারে যাবার জন্য এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ। আমাদের কষ্টের শেষ নেই। এখানে সেতু হলে আমাদের দু:খ লাগব হবে।

বাস চালক শুক্কুর, রাজস্থলীর বাঙ্গালহালিয়া হতে আসা ব্যবসায়ী পুলক চৌধুরী, সিএনজি চালক আরিফ, বিপণন কর্মী নুরনবী এবং যাত্রী ওমর ফারুকসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, সকালে এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের স্পীল ওয়ে ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রচুর জোয়ার থাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে ফেরির ইনচার্জ মো: শাহজাহান এবং ফেরির চালক মো: সিরাজ এর সাথে। তাঁরা বলেন, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে পানি ছাড়ার ফলে নদীতে অনেক স্রোত। তাই বুধবার দিবাগত রাত ৩ টা হতে আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে স্রোত কমলে আমরা ফেরির চালার চেষ্টা করবো।

মন্তব্য

আদিবাসী শব্দ বাদ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

আদিবাসী শব্দ বাদ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে সচেতন ছাত্র- জনতা রাঙামাটি পার্বত্য জেলার উদ্যাগে বর্তমান সরকারের গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ১৯৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ১১৩, ১৪৬,১৪৭,১৪৮ পৃষ্ঠায় বিতর্কিত আদিবাসী শব্দের ব্যবহারের প্রতিবাদে ও উক্ত প্রতিবেদন থেকে আদিবাসী শব্দ বাদ দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলার সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজ এর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশাররফ হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সম-অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি'র রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, পিসিএনপি'র রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম, পিসিএনপি'র সহ-সভাপতি কাজী জালোয়া, পিসিসিপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আসিফ ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, যুগ্ন সম্পাদক হাবীব আল মাহমুদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন, রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ইসমাঈল গাজী প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত (৫ আগষ্ট ২০২৪) হাজার প্রাণের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার পথে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। এরপর আমরা আশা করেছিলাম দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ হবে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু উপজাতীয় কুচক্রী মহল ও সমতলের বাম সংগঠনের সুশীল নামধারী ষড়যন্ত্রকারীরা দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী ইস্যু নিয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। মূলত গণমাধ্যমে আদিবাসী শব্দের ব্যবহার এরপরে সাংবিধানিক স্বীকৃতি আদায় এরপরে বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার এমনি ভয়ংকর পরিকল্পনা থেকে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে সুপারিশ কৃত প্রতিবেদনে আদিবাসী শব্দের ব্যবহার করেছে যা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় দেশ প্রেমিক সচেতন ছাত্র-জনতারা আশা করেন দেশের অখন্ডতা রক্ষায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে সুপারিশকৃত প্রতিবেদন থেকে প্রধান উপদেষ্টা আদিবাসী শব্দ বাদ দিবেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Naogaon journalist in jail for terrorist attacks

নওগাঁয় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার দায়ে জেল হাজতে

নওগাঁয় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার দায়ে জেল হাজতে

নওগাঁয় সাংবাদিক এ কে সাজুর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি কনক এবং ৮ নম্বর আসামি মোকাব্বের হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর আমলী আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারেক আজিজ এই আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি কনক ও অপর আসামি মোকাব্বের হোসেন এ দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে এই মামলায় আরও দুইজন আসামির জামিনও নামঞ্জুর করে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক হাদিউল ইসলাম জানান, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মোট ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন ইতোমধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে এবং সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে ডিবিসি নিউজের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি এ কে সাজু মহাদেবপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে একদল সন্ত্রাসী তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাজু নিজেই বাদী হয়ে মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

সাংবাদিকের ওপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক মহলসহ সচেতন মহলে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Bagerhat on the first day of the 4 hour strike

৪৮ ঘন্টার হরতালের প্রথম দিনেই অচল বাগেরহাট

৪৮ ঘন্টার হরতালের প্রথম দিনেই অচল বাগেরহাট

‎চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে বুধবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ৪৮ঘন্টা সর্বাত্মক হরতাল, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধের প্রথম দিনেই অচল হয়ে পড়ে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর মোংলাসহ পুরো বাগেরহাট জেলা। বিএনপি জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা ৪৮ঘন্টার একটানা হরতাল ও সড়ক-মহাসড়ক অবরোধের প্রথম দিন ভোর থেকে বাগেরহাট থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুরসহ ৪৮টি দূরপাল্লার ও আন্তজেলার সব রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মোংলা বন্দরের আমদানী-রপ্তানী পন্য সড়ক পথে পরিবহনও বন্ধ রয়েছে। হরতালকারিরা সকালে জেলা, উপজেলার নির্বাচন অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় কর্মকর্তা কর্মচারিরা অফিসে ঢুকতে পারেনি। জেলার সব উপজেলা ও পৌর শহরগুলোতে সর্বাত্বক হরতাল পালিত হচ্ছে। হরতালের প্রথম দিনে শহরের দোকানপাট, ব্যবসা, ব্যাংক, বীমা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি অফিসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হরতাল ও সড়ক অবরোধে জেলার মোরেলগঞ্জে পানগুছি ও মোংলা নদীতে সড়ক বিভাগের ফেরীসহ খেয়া চলাচলও বন্ধ রয়েছে। জেলার সড়ক-মহাসড়কের অন্তত ৩০টি পয়েন্টে পিকেটাররা টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় মোংলা বন্দরসহ পুরো বাগেরহাট সারাদেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাগেরহাট বিসিক শিল্প নগরী, মোংলা ইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক না আসতে পারায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। মোংলা বন্দরের পন্য সড়ক পথে আনা নেয়ার কাজও বন্ধ রয়েছে। সব শ্রেনী-পেশার মানুষের অংশ গ্রহনে মোংলা বন্দরসহ বাগেরহাট জেলাজুড়ে ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড কার্যত থমকে দাড়িয়েছে।‎প্রথম দিনের হরতাল চলাকালে এখন পর্যন্ত কোন অপ্রতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে, কোন অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখক পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Adulterated food is increasing and selling in Chittagong as the punishment is low

শাস্তি-জরিমানা কম হওয়ায় চট্টগ্রামে বাড়ছে ভেজাল খাদ্য তৈরি ও বিক্রি

শাস্তি-জরিমানা কম হওয়ায় চট্টগ্রামে বাড়ছে ভেজাল খাদ্য তৈরি ও বিক্রি

চট্টগ্রামে অভিযানেও থামছে না ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও বিক্রি। এমনকি মানুষের মরণব্যাধি রোগ প্রতিরোধকারী মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। মুনাফালোভী কিছু অসাধু চক্র ও খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসব ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করে বাজারজাত করছে। মানহীন এসব খাবার তৈরিতে তারা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও সোডাসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করে, যা ওই খাদ্যের সাথে মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে লিভার ও কিডনি নষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। এছাড়া ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও থাকছে। জরিমানার পরও এসব চক্রের সদস্যরা ফের যুক্ত হচ্ছে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকলকে এসব অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযানের পরে শাস্তি পাওয়া ওই ব্যবসায়িকে ফলোআপে রাখতে হবে। এছাড়া এসব অপরাধের জন্য শাস্তির পরিমানও বাড়াতে হবে।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাবর) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের দৈনিক বাংলাকে বলেন, অতি মুনাফালাভের কারণে ব্যবসায়ীরা বারবার একই অপরাধ করে থাকেন। তাই অভিযানের পর জরিমানা বা শাস্তি পাওয়া প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়িকে ফলোআপে রাখতে হবে। এছাড়া ভোগ্যপণ্যেও পাইকারি ও খুচরা মার্কেটগুলোতে তদারকি বা অভিযান বাড়তে হবে।

তিনি বলেন, অভিযানে কোনো প্রতিষ্ঠানের অপরাধ নজরে আসার পর যে পরিমাণ শাস্তি বা জরিমানা হওয়ার কথা সে পরিমাণ হয় না। যা হয় তা অতি নগণ্য। তাই এসব অতি মুনাফালোভীদের আবারও একই অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। তাই শাস্তি বা জরিমানার পরিমাণও বাড়াতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ দৈনিক বাংলাকে বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তবে নতুন নতুন কারখানা হলে সেগুলোর সঠিক তথ্য আমরা পাই না। যার কারণে তারা এ অবৈধ ব্যবসা করার সুযোগ নেয়।

জরিমানার পরও এসব চক্রের সদস্যরা ফের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা এই অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে তারা সুযোগ নেন। তাই প্রশাসনের সকল স্তর থেকে এদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে সাধারাণ ভোক্তারা উপকৃত হবেন।

অন্যদিকে অনুমোদনহীন মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করছে নগরের বড় বড় ফার্মেসিগুলো। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযানে জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছে না এদের ভেজাল খাদ্য তৈরি ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপচেষ্টা।

গত সোমবার নগরীর বহদ্দারহাট খাজা রোড, মাইজপাড়া এলাকায় সততা প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটার নামে এক প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার অভিযান চালায়। অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বিশুদ্ধ পানি উৎপাদনের আড়ালে নকল স্টারিং পাওয়ার অয়ের তৈরি করছে। ওই প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। একই অভিযানে ওই এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে জয়নাব মেডিকেল হল ও জননী মেডিসিন হলকে পাঁচ হাজার টাকা কওে জরিমানা করা হয়। এছাড়া আল হাসান নামে এক বেকারি প্রতিষ্ঠানে মেয়াদবিহীন মিষ্টান্ন বিক্রির অপরাধে জরিমানা করা হয়।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট নগরীর বায়েজিদ থানার চন্দ্রনগর এলাকায় সাদিয়াস কিচেনের কারখানায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন অভিযান চালায়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ তৈরি, ফ্রিজে কাচা ও রান্নাকৃত খাদ্য একত্রে রাখা, লেবেলবিহীন খাদ্য সংরক্ষণ, রান্নাঘরের পাশে মুরগি পালন, খাদ্যকর্মীদের ইউনিফর্ম না থাকা ও বিভিন্ন লাইসেন্স সনদ দেখাতে না পারায় সাদিয়াস কিচেনকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। গত ৯ জুলাই বুধবার নগরের কোতোয়ালি থানাধীন স্টেশন রোড এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় গুলিস্তান হোটেল ও আজাদী হোটেল অ্যান্ড বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায়। এ সময় তেলাপোকার উপদ্রব ও অস্বাস্থ্যকর রান্নাঘরের পরিবেশ, খাদ্যেপচা ডিম ব্যবহার করার দায়ে এ দুই প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই দিনে ওই এলাকার দুই ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে জরিমানা করা হয়। তবে ভোক্তার অভিযোগ, অভিযান চালালেও থামাতে পারছে না এসব চক্রকে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
In the parliamentary elections the polling station is 12 thousand 5

সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৬১৮টি

সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৬১৮টি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র স্থাপনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংকালে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'আমাদের রোডম্যাপের আওতায় আজ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাগত একটি হিসাব প্রকাশ করছি। বর্তমানে ১০টি অঞ্চলের আওতায় ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। এবার গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র করার ভিত্তিতে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে।'

ইসি সচিব আরও জানান, ভোটকেন্দ্রে পুরুষ ও মহিলা ভোটকক্ষের পৃথক হিসাব করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৬০০ পুরুষ ভোটারের জন্য একটি এবং ৫০০ মহিলা ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ হিসাবে পুরুষ ভোটকক্ষ হবে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৯টি এবং মহিলা ভোটকক্ষ হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১০৭টি। সব মিলিয়ে মোট ভোটকক্ষ দাঁড়াবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি।

তিনি বলেন, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৫০টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৪৭২টি। এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে, তবে ভোটকক্ষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমেছে।

সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, আজ প্রকাশিত খসড়া তালিকার ওপর দাবী-আপত্তি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে। দাবী-আপত্তি নিষ্পত্তি হবে ১২ অক্টোবর। এরপর ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Successful farmers are cultivating watermelons in Keshabpur

কেশবপুরে মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষ করে সফল কৃষকেরা

কেশবপুরে মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষ করে সফল কৃষকেরা

যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিল খুকশিয়া এলাকায় মাছের ঘেরের ভেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। এ আবাদে ভালো ফলন পেয়ে বেশ লাভবান হচ্ছেন তারা। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন এ তরমুজ। তরমুজ চাষে লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষক নতুন করে এ আবাদে ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তরমুজ আবাদ পরিদর্শন করে চাষিদের এ আবাদে উদ্বুদ্ধ করছেন।

কেশবপুর উপজেলা সদর থেকে ১৮ প্রায় কিলোমিটার দূরে শ্রীহরি নদীর তীরে অবস্থিত বিল খুকশিয়া। এ বিলের ৬ হাজার ৩৭৫ বিঘা ফসলি জমি দীর্ঘ ২০ থেকে ২২ বছর যাবৎ জলাবদ্ধতা থাকায় কৃষকেরা ফসল ফলাতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েন। বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন করে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০০৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রীহরি নদীতে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে এবং বিল খুকশিয়ার তলদেশ উঁচু করার জন্য জোয়ার আঁধার (টিআরএম) প্রকল্প গ্রহণ করলেও সফলতা মেলেনি। প্রকল্প শেষে জমির মালিক কৃষকরা বিলটিতে মাছের ঘের তৈরি করেন এবং মাছের ঘেরের ভেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেন। তরমুজ চাষ করে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।

সরেজমিন বিল খুকশিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ঘেরের বেড়িতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। কৃষক ইকবাল হোসেন দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি হারুনার রশীদ বুলবুল কে বলেন, তিনি ১৩ বিঘা মাছের ঘেরের ভেড়িতে ১ হাজার ৪০০টি তরমুজের মাদা তৈরি করে ফলন পেয়েছেন ২৭৫ মণ। প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ২০০ টাকা করে বিক্রি করছেন। তিনি সর্বোচ্চ ১৪ কেজি ওজনের তরমুজ পেয়েছেন। একইভাবে আবদুল হালিম খান মাছের ঘেরের ভেড়িতে ১২০টি মাদা তৈরি করে ৩০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। কৃষক আবদুল কুদ্দুস ৭ বিঘা মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষ করেছেন। তার উৎপাদিত তরমুজ আকারেও বেশ বড়। সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি কে বলেন , দীর্ঘ ২০ থেকে ২২ বছর বিল খুকশিয়া জলাবদ্ধতা হয়ে থাকায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। ২০০৫ সালে ওই বিলে টিআরএম প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প শেষে বিলটিতে কৃষকরা মাছের ঘের তৈরি করেন। ওইসব ঘেরের ভেড়িতে এ বছর কৃষকরা তরমুজ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। ধান, মাছ চাষের পাশাপাশি তরমুজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফিরেছে। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় অনেক শিক্ষিত যুবক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করায় ব্যাপক সাড়া দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিল খুকশিয়ায় মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষ ওই এলাকার কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করছে। এশিয়ান-১, পাকিজা সুপার, ব্লাক কিং, ব্লাক কুইন জাতের তরমুজ এখানে বেশি আবাদ করা হয়েছে। এ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ব করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন দৈনিক বাংলা কে বলেন, মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি চাষ করে এলাকার কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের তরমুজ চাষে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমার পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করবো।

মন্তব্য

p
উপরে